হাওজা নিউজ এজেন্সি: প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান প্রথমবারের মতো ক্ষেপণাস্ত্র অনুপ্রবেশের হার প্রায় দ্বিগুণ করতে পেরেছে, যা ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য এক বড় ধরনের হুমকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে তেহরানের পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষাভিত্তিক কৌশল। এতে তারা একাধিক পরিবর্তন এনেছে:
দীর্ঘ-পাল্লার ও উন্নত প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার,
বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হামলা চালানো (মূলত ইরানের অভ্যন্তর থেকে),
রাতের পরিবর্তে দিনে ছোট ছোট ঢেউয়ের মতো হামলা চালানো, এবং
টার্গেট বণ্টনে বৈচিত্র্য আনা।
এই পরিবর্তিত কৌশলকে বিশ্লেষকরা বলছেন “trial and error” — অর্থাৎ ভুল-শেখা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে গড়ে তোলা কৌশল। যার ফলে ইসরায়েলের বহুস্তরবিশিষ্ট আকাশ প্রতিরক্ষা জাল (যেমন: আয়রন ডোম, ডেভিড’স স্লিং, অ্যারো সিস্টেম) একাধিকবার ভেদ হয়ে গেছে।
র্যান্ড কর্পোরেশনের গবেষক রাফায়েল কোহেন বলেন:
> "যেকোনো ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা—এমনকি ইসরায়েলের মতো উন্নত ব্যবস্থাও—শেষ পর্যন্ত কিছু না কিছু ফাঁক রাখেই।"
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরান এখন শুধু প্রতিরক্ষা নয়, আক্রমণাত্মক প্রযুক্তি ও কৌশলেও একটি বড় শক্তি হয়ে উঠছে, যা শুধু ইসরায়েল নয়, বরং গোটা অঞ্চলের ভূরাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে।
সূত্র: The Wall Street Journal
আপনার কমেন্ট